বাকৃবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উদযাপিত

জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ (মঙ্গলবার) ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল হক এর সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয়  পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালি শেষে বাকৃবি চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহিদের প্রতি দোয়া ও মাগফেরাত কামনা করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন,দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির,প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বক্তব্যে বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ডাকেই বীর বাঙালি অস্ত্র ধরে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিল। চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আজকের এই দিনে ময়মনসিংহ পাক-হানাদার মুক্ত হয়েছিল। আপনারা আরও জানেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ,কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও সরাসরি এই আত্নত্যাগে সামিল হয়েছিল। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশের আপামর জনগণ যারা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল তাঁদেরকে আমরা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।এছাড়াও অধুনা অতীতে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাকরুদ্ধ দেশকে বাক-স্বাধীনতা এনে দিতে যারা শহীদ হয়েছেন ,পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং যারা এখনো হাসপাতলে অসুস্থ তাঁদের সশ্রদ্ধভরে স্মরণ করি ও দোয়া করি। এছাড়াও তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কারো কড়াতলগত হওয়ার জন্য নয়। এদেশের প্রতিটা ইঞ্চি মাটি স্বাধীন থাকবে, মানুষ মুখ ফুটে কথা বলতে পারবে, স্বাধীনতা উপভোগ করবে, এদেশে আর কোন জালিম দুঃশাসক আসবে না আমি দৃঢ়ভাবে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করি। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে আমাদের উপর যে দায়িত্ব আছে তা সঠিকভাবে পালন করব এবং দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাব এটাই হবে আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা ।