ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে বাকৃবিতে 'বেগম খালেদা জিয়া হল' এর উদ্বোধন


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এর ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে একটি নতুন ছাত্রী হলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর,২০২৫) সন্ধ্যা ৬.৩০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বাকৃবি'র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া 'বেগম খালেদা জিয়া হল' এর নামফলক উন্মোচন করেন। নতুন আবাসিক হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো: আবদুল কাদের এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো: শহীদুল হক, ডীন পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রভোস্ট পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো: রুহুল আমিন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো: মোশাররফ উদ্দিন ভূইয়া, ট্রেজারার প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলীম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো: হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদের ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রভোস্টবৃন্দ, হাউজ টিউটরবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ, সিনিয়র শিক্ষক মন্ডলী, কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীবৃন্দ এবং উক্ত হলের ছাত্রীবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজকের এই দিন বাকৃবির ইতিহাসে স্মরণীয় একটি দিন কারণ 'বেগম খালেদা জিয়া হল' এমন একজন মহীয়সী ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি ঐক্যের প্রতীক এবং সত্যিকার অর্থে তিনি একজন অনুসরণীয়, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আমরা সবাই কায়মনোবাক্যে উনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ুর জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি এবং বাংলাদেশের ঘরে ঘরে তাঁর মত মহিয়সী নারী জন্মগ্রহণ করুক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। প্রধান অতিথি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তার পেছনে ২০২৪ সনের জুলাই-আগষ্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের অবদান অপরিসীম। তিনি উক্ত গণঅভ্যুত্থানে, নিহত, আহতসহ সকলের প্রতি গভীর শোক, শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানান। বাকৃবির ছাত্রীদের আবাসন সংকট দ্রুত নিরসনকল্পে নতুন ছাত্রী হলটিকে প্রস্তুত করার জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে 'বেগম খালেদা জিয়া হল' এর শিক্ষার্থীরা মেধা ও মননশীলতায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অনন্য নজির সৃষ্টি করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই হলে ইলেকট্রিক হিটার এর ব্যবহার হবে না, সবাই হল ডাইনিং এ তাদের খাবার খাবে। তিনি সকল ছাত্রীর উজ্জ্বল ও মঙ্গলময় জীবন কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দশতলা বিশিষ্ট ভবনের ১২০০ সিটের এই হলটি আংশিক প্রস্তুত করে প্রাথমিকভাবে ৩৭৫ জন ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।